বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাঁচস্থানে একইদিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা। মেলাগুলো হচ্ছে উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের হরিখালী বাজার, তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের কাঁচারী বাজার, পাকুল্যা ইউনিয়নের পাকুল্যা বাজার, জোড়গাছা ইউনিয়নের চরপাড়া ও ঠাকুরপাড়া।
দিনব্যাপী এ মেলাগুলোকে কেন্দ্র করে রকমারি পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছে দোকানিরা। সোনাতলা উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় এখন শুধুই মেলার অনুষঙ্গ।
সোনাতলা উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার দুরে মধুপুর ইউনিয়নের মধুপুর বাজারে প্রায় শতবর্ষ পূর্ব থেকে সন্যাসী পূজাকে কেন্দ্র করে হরিখালী মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম দিকে হরিখালীর পার্শ্ববর্তী সাতবিলে সন্যাসী পূজার দিন মেলাটি অনুষ্ঠিত হলেও ধীরে ধীরে লোক সমাগম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে স্থান সংকুলান না হওয়ায় তা হরিখালী বাজারে স্থানান্তরিত হয়। মেলাটি ১ দিনের জন্য হলেও ২থেকে ৩ দিন এ মেলার আমেজ থাকে।
১৫/২০ বছর আগে মেলাপ্রিয় স্থানীয় জনগণের উৎসাহে তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের কাঁচারী বাজারে এবং দু’বছর আগে পাকুল্যা বাজারে শুরু হওয়া মেলাগুলো এখন আরও বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়ায় সন্যাসী পূজাকে কেন্দ্র করে প্রায় শতবর্ষ যাবত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বুড়া মেলা ।
এ মেলাগুলোতে বড়-বড় মাছ, কাঠের আসবাবপত্র, মাটির তৈজসপত্র, লোহার নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, শিশুদের খেলাধুলার সামগ্রী,বিভিন্ন আকৃতির মিষ্টি পাওয়া যায়। মেলার বেশ কয়েকদিন পূর্ব থেকে ওই অঞ্চলের লোকজন তাদের মেয়ে-জামাই ও নাতি-নাতনীদের নাইওর নিয়ে আসেন। আর যারা নাইওর আসতে পারেনা তাদের বাড়িতে পাঠানো হয় বড়-বড় মাছ ও মিষ্টি।
এদিকে অনুমতি ছাড়াই এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে মেলাগুলো। এ ব্যাপারে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানান, মেলার জন্য কোন অনুমতি নেই। কোথাও মেলা হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর