কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ আইস ও বিয়ার উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার জনৈক নুর কবিরের মাছের ঘেরে মাদকের একটি বড় চালান লুকায়িত অবস্থায় রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঝিমংখালী বিওপি এবং ব্যাটালিয়ন সদর এর ২টি বিশেষ টহলদল তাৎক্ষণিকভাবে বর্ণিত এলাকায় গমণ করে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে। তল্লাশীর এক পর্যায়ে উক্ত স্থানে নুর কবিরের মাছের ঘেরের জালের ভিতর লুকায়িত অবস্থায় ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা মূল্যের এক কেজি ৭৬ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করা হয়। সেই স্থানে ঘেরের মালিক বা অন্য কোন বেসামরিক ব্যক্তি না থাকায় কোন পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘেরে মালি নুর কবিরকে আটকের পর সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আটক ঘের মালিককে পলাতক আসামি দেখিয়ে জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইসগুলি টেকনাফ মডেল থানায় জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অপরদিকে, একইদিনে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি’র বিশেষ টহলদলের অভিযানে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৫৮ ক্যান আন্দামান গোল্ড বিয়ার (মালিকবিহীন অবস্থায়) উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত বিয়ারগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের ষ্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম গ্রহণ পরবর্তীতে তা ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে বলে জানা গেছে।
এছাড়া একই ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হোয়াইক্যং চেকপোষ্ট হতে একজন আসামিসহ ৮ লাখ ৩৯ হাজার টাকা মূল্যের ২ হাজার ৭৯৫ পিস ইয়াবা এবং ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামিকে জব্দকৃত ইয়াবা এবং মোবাইল ফোনসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তাছাড়া একই ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হোয়াইক্যং চেকপোষ্ট হতে কে নাইন ডগের মাধ্যমে একজন আসামিসহ ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৫৩০ পিস ইয়াবা এবং ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামিকে জব্দকৃত ইয়াবা এবং মোবাইল ফোনসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ