গাজীপুরে র্যাব পরিচয়ে মার্কেটে ঢুকে বিপুল পরিমাণ সিগারেটসহ নগদ টাকা ও মালামাল লুট করার ঘটনায় নারীসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত প্রায় ৭শ প্যাকেট সিগারেট ও টাকা এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার জিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বরগুনার ছোট গৌউরি এলাকার হেমায়েত হোসেন ওরফে ইমন ওরফে হিমু (৩৫), একই জেলার তালেশ্বর এলাকার আল আমিন (৩৫), পিরোজপুরের দক্ষিণ কাঁকড়া বুনিয়া এলাকার শহীদ হাওলাদার (৪৪), ফেনীর করুচিয়া এলাকার আল আমিন ওরফে মনির হোসেন (৫৫), ভোলার কচুয়াখালী এলাকার শাহজাহান ওরফে সাজু ওরফে কোটি (৩০), বরিশালের মধ্য হোসনাবাদ এলাকার মিতু (৩৫) এবং একই এলাকার হাবিবুর রহমান (৪৫)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হেমায়েত হোসেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে এবং বাকী সবাই গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় বসবাস করতো।
জিএমপির ওই কর্মকর্তা জানান, গত ২১ মার্চ রাত সাড়ে ৩টার দিকে র্যাব সদস্য পরিচয়ে ৮/১০ জন ডাকাত গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া পশ্চিমপাড়া রূপ মিয়া সুপার মার্কেটে হানা দিয়ে সিকিউরিটি গার্ডকে জিম্মি করে। এসময় তারা তল্লাশি করার কথা বলে মার্কেটের বিউটি জেনারেল স্টোর নামের দোকানের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে ডাকাতররা আক্তার হোসেনের মালিকানাধীন ওই দোকান থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাড়ে চার লক্ষাধিক টাকার সিগারেট ও নগদ ২০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের একাধিক টিম ক্লুলেস এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন, জড়িতদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে। পুলিশ দোকানের ও রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই ৭ জনকে বিভিন্নস্থান থেকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৬৯৪ প্যাকেট সিগারেট, সাড়ে ৮ হাজার টাকা এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং অপর চারজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ