নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ইমামের কাছে পড়তে গিয়ে বলৎকারের অভিযোগে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন শিশুর বাবা। রবিবার সন্ধ্যায় কেন্দুয়া থানায় পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা বড় মসজিদের ইমাম তাজুল ইসলামকে একমাত্র আসামি মামলাটি দায়ের করেছেন শিশুর বাবা।
এর আগে এলাকাবাসী অভিযুক্ত মসজিদের ইমামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেন্দুয়া থানার ওসি কাজি মো. শাহনেওয়াজ। তিনি বলেন, আটক ইমামকে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে। আটক হওয়া ইমামের বাড়ি পাশ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ সদর থানার সফিলা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা বড় মসজিদে গত পাঁচ থেকে ছয় মাস ধরে ইমাম তাজুল ইসলাম ইমামতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর পাশাপাশি তিনি একই এলাকার আয়শা সিদ্দিক মহিলা মাদ্রাসায় সকালে বাচ্চাদের মক্তবে পড়ান। প্রতিদিন সকালে এলাকার বেশ কিছু শিশুদেরকে মক্তবে আরবি পড়ান তিনি। যে কারণে এলাকার কেনু মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রতিদিনের মত রবিবার সকালেও এলাকার ছোট ছোট বাচ্চারা ওই মাদ্রাসার মক্তবে পড়তে যায়। সকালের মক্তব পড়ার শেষে সকল বাচ্চাদের ছুটি দিয়ে দিলেও দুই ছাত্রকে ইমাম তাজুল ইসলাম বলেন, পাশের বাড়ি থেকে সকালের খাবার এনে দিতে। হুজুরের কথা মত দুই শিশু পাশের এক বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে কেনু মিয়ার বাড়িতে আসার পর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন ইমাম তাজুল ইসলাম। পরে খাওয়া দাওয়া শেষে দুই শিশুকে তার হাত পা, টিপে দিতে বলেন ইমান। এক পর্যায়ে এক শিশুকে চলে যেতে বলে অপর শিশুকে ইমামের ঘরে রেখে বলাৎকার করেন।
এরপর বাড়ি গিয়ে শিশুটি তার পরিবারকে ঘটনা জানালে ভিকটিমের পরিবার এলাকাবাসীকে জানায়। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে বিকালে ওই মসজিদের ইমামকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আটক ইমামকে থানায় নিয়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/এএম