খুলনার কয়রা মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব ইকবাল হোসেনকে মারধরের ঘটনায় চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কয়রা থানায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২১ মার্চ সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রেখে সচিবকে মারধরের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং থানা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপস্থিত হন। এসময় ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝি হয়েছে’ -এমন লিখিত নিয়ে ইকবালকে পরিবারের সাথে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে পরদিন ২২ মার্চ অসুস্থ অবস্থায় ইকবালকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশে বাড়ি থেকে ডেকে এনে তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। এতে তার হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। ভয়ভীতি দেখানোর কারণে তিনি প্রথমে ঘটনাটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে লিখিত দিতে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে খুলনার ৬৮ ইউনিয়নের সচিব ও হিসাব সহকারীরা কর্মবিরতি পালন করেন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। অপরদিকে ঘটনাটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অপপ্রচার দাবি করে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ২৩মার্চ কয়রা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন