মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রকে বেত্রাঘাতের অভিযোগে সহকারী শিক্ষক মো. আনিস উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ বিকেলে বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র সুলতান মাহমুদ নূরকে শ্রেণীশিক্ষক মো. আনিস উদ্দিন বেত্রাঘাতকরে ক্ষতবিক্ষত করেছে মর্মে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বরাবর অভিযোগ করেন ওই ছাত্রের বাবা মো. আক্তার হোসেন। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আজ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরীসভায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘটনাতদন্তে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন বলেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী কোন ছাত্রকে মারধর করা যাবে না। অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রকে বেত্রাঘাত করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। একারণে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আনিস উদ্দিন বলেন, আমি ষষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষার্থীদের ইংরেজী এবং নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ইতিহাস পড়াই।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের বড় চুল কেটে ছোটো করতে বলা হয়। গত একমাস ধরে বলার পরও বেশ কয়েকজন ছাত্র কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত মানছে না। একারণে আমি গতকাল চারজনকে বেত্রাঘাত করি। এদের মধ্যে একজনের বাবা অভিযোগ করেছে। আমি আমার দোষ স্বীকার করে ওই শিক্ষার্থীর বাবার কাছে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ