আসরে প্রথম ম্যাচে আউট হয়েছিলেন অল্প রানে। পরের ম্যাচেই আবার স্বরূপে ফিরলেন তাজমিন ব্রিটস। এই বছরে আরেকটি সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকা ওপেনার নাম লেখালেন রেকর্ড বইয়ে।
উইমেন’স ওয়ানডে বিশ্বকাপে সোমবার (৬ অক্টোবর) নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রান তাড়ায় ম্যাচ জয়ী ১০১ রানের ইনিংস খেলেন ব্রিটস। ইন্দোরে তার ৮৯ বলের ইনিংসটি গড়া ১৫ চার ও এক ছক্কায়। এই সংস্করণে চলতি বছর তার পঞ্চম সেঞ্চুরি এটি, প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে পাঁচবার তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পেলেন তিনি।
৩৪ বছর বয়সী ব্রিটস ভেঙে দিলেন ভারতীয় ওপেনার স্মৃতি মান্ধানার রেকর্ড। মান্ধানা এক পঞ্জিকাবর্ষে চারটি ওয়ানডে সেঞ্চুরির স্বাদ পান দুই দফায় (২০২৪ ও ২০২৫)। চলমান বিশ্বকাপে মান্ধানার সামনেও সুযোগ আছে ব্রিটসের পাশে বসার। ব্রিটস ওয়ানডেতে এই বছরের শুরুটাই করেন সেঞ্চুরি দিয়ে। গত এপ্রিলে ত্রিদেশীয় সিরিজে কলম্বোয় ভারতের বিপক্ষে খেলেন ১০৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস।
পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ মিলিয়ে সেঞ্চুরি করেন টানা তিন ইনিংসে। জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেন ৯১ বলে ১০১। গত মাসে পাকিস্তান সফরে প্রথম ম্যাচে করেন ১২১ বলে অপরাজিত ১০১। পরের ম্যাচে খেলেন ১৪১ বলে অপরাজিত ১৭১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, যা তার ক্যারিয়ার সেরা। সেই ফর্ম সঙ্গে নিয়ে তিনি পা রাখেন বিশ্বকাপে।
এখানে প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হয়ে যান ৫ রান করেই, দক্ষিণ আফ্রিকাও হেরে যায় বাজেভাবে- ১০ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৩২ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গেছে ৫৫ বল বাকি থাকতেই। দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন ব্রিটস।
স্রেফ ৪১ ইনিংস খেলেই ব্রিটসের ওয়ানডে সেঞ্চুরি হয়ে গেল সাতটি। তার চেয়ে কম ইনিংসে সাত সেঞ্চুরি করতে পারেননি আর কেউ। ৪৪ ইনিংস লেগেছিল সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মেগ ল্যানিংয়ের। ৫০ এর কম ইনিংসে খেলে এই নজির নেই আর কারো।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ