রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন বিশ্বাসের কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফজলুল হক ফরহাদসহ পাংশ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. তাজুল ইসলাম। এ ঘটনায় সোমবার জালাল বিশ্বাস নিজে বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় ফরহাদ ও তাজুলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি তার। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি করেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাংশা পৌরসভা এলাকায় জালাল বিশ্বাস জেলা পরিষদের পাঁচ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে দোকানঘর করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এ সময় অভিযুক্ত ফরহাদ ও তাইজুল দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। জালাল বিশ্বাস ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকা না দেওয়ার কারণে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান জালাল বিশ্বাস জেলা পরিষদের পাঁচ শতাংশ জায়গা লিজ নিয়ে অনেক জায়গা দখলের পায়তারা করছেন। সেটি বাঁধা দিতে গেলেই তিনি চাঁদা দাবির ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলেন।
যুবলীগ নেতা ফরহাদ বলেন, জালাল বিশ্বাস উপজেলার একটি টেন্ডার নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। আমি সিডিউল ক্রয় করতে গেলে তিনি আমাকে হত্যার হুমকি প্রদান করেন। আমি পাংশা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করব।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাংশা থানা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় পৌরসভার কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম পাংশা মডেল থানায় অস্ত্র ও হত্যাচেষ্টা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। তাজুল নিজস্ব একটি বাহিনী নেতৃত্বে প্রদানের অভিযোগে অস্ত্রসহ পাংশা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল।
বিডি প্রতিদিন/এএম