পাহাড়ি ঢলে আবারও নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী উপচে আশপাশের হাওরে পানি প্রবেশ করার শঙ্কা কৃষকসহ এলাকাবাসীর। ফলে যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে কীর্তনখোলা বেড়িবাঁধ। ডুবে যেতে পারে ২০ হাজার হেক্টর জমির ধান। তবে এরই মধ্যে অনেকেই কেটে ফেলেছেন আধা পাকা ধান। এদিকে কৃষি বিভাগও তাগিদ দিচ্ছে দ্রুত ধান কাটার।
শনিবার বিকাল ৩টার পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক সমীক্ষায় পানির ওই লেভেল জানা যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেত্রকোনা প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধনু নদের পানি বাড়তে বাড়তে বিপদসীমার মাত্র এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো সময় নদী উপচে প্রবাহিত হতে পারে পানি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এফ এম মোবারক আলী জানান, বাঁধের বাইরে কোনো ফসল নেই, যা ছিল তার মধ্যে ১২৩ হেক্টর আগেই ডুবেছিল। বাঁধ ভাঙলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মাত্র ৫৪ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। দ্রুত কাটতে ইতোমধ্যেই আমাদের হাওরের বিভিন্ন এলাকায় ৩৭১টি হারভেস্টার মেশিন নামানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রায় ১৫ দিন ধরে খালিয়াজুরী উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ ৭ কিলমিটার বেড়িবাঁধের বেশ কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিলে স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকরা বাঁধ মেরামত করেন। জেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় বাঁধের ফাটল বন্ধে প্রতিনিয়ত কাজ করে ধান রক্ষার চেষ্টা চালায়। এরপর ধনু নদের পানি কিছুটা কমলেও গতকাল থেকে দ্রুতগতিতে বেড়ে যাওয়ায় আবারও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বছর হাওরের বাঁধ রক্ষায় খালিয়াজুরী উপজেলাতেই শুধু ১৬ কোটি টাকার কাজ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তার মধ্যে ৫৫ কিলোমিটার খালিয়াজুরী বেরিবাঁধের ৭ কিলোমিটার কির্তনখোলা বাঁধের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল। গত ২ এপ্রিল থেকে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি নদ-নদীতে ঢলের পানি বাড়তে থাকে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ