ঈদ উল ফিতরে ঘরমুখো মানুষদের বিশেষ সেবা দিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চলছে বগি প্রস্তুতকরণের ব্যস্ততা। নির্ধারিত কর্মঘন্টার পরও অতিরিক্ত সময় দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করছেন কারখানা শ্রমিকরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রয়োজনের মাত্র চার ভাগের এক ভাগ জনবল নিয়ে কাজ চলছে কারখানায়। প্রয়োজন ৩৮৪১ শ্রমিক, আছেন মাত্র ১৩৩৭জন।
কারখানায় শ্রমিকরা কেউ রঙ, কেউ বডি প্রস্তুতকরণ, কেউ ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ তৈরি, কেউ চাকা মেরামত, কেউ ওয়েল্ডিং, আবার কেউ কোচের সিট মেরামতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
সৈয়দপুরের এই ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে কারখানায় পুরনো ট্রেনকে নতুন করার কাজ চলে আসছে ব্রিটিশ আমল থেকে। ব্রিটিশ সরকার ১৮৭০সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি স্থাপন করে।
প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে শুরু করে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কাজ চলছে কারখানার ২৪টি বিভাগে। ইতোমধ্যে প্রস্তুত হওয়া ৩০টি বগি হস্তান্তর করা হয়েছে রেলওয়ের পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগে।
কারখানার জিওএইচ শপের ইনচার্জ সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, এই ঈদে ৫০টি নতুন কোচ যুক্ত হবে আন্তঃনগরের বিভিন্ন বহরে। প্রতি কোচে এক’শ জন করে হলেও ৫০টি কোচে ৫ হাজার অতিরিক্ত যাত্রী দৈনিক বহন করা যাবে। ঈদের সময় যাত্রী চাপ কমাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উৎপাদন মেশিন শপের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘জনবল সংকট প্রধান সমস্যা এখানে। প্রয়োজনীয় জনবল থাকলে কারখানাটি আরও উন্নত সেবা দিতে পারতো । উৎপাদন এই বিভাগে ১৩৮জন শ্রমিক প্রয়োজন। তবে রয়েছে মাত্র ৩৮জন। ৩৮ জনকে কাজ করতে হচ্ছে পুরো শপের। ঈদের সময় আমরা সবাই অত্যন্ত কষ্ট নিয়ে কাজ করি।
সৈয়দপুর কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক সাদেকুর রহমান জানান, লক্ষ্যমাত্রার ৫০টি কোচের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩০টি কোচ হস্তান্তর করা হয়েছে রেলের পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগে। বাকি ২০টির কাজ চলছে পুরোদমে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করছি। এই ৫০টি কোচ রেলের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের র্যাকে যুক্ত হয়ে যাত্রী পরিবহণ করবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল