মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের নতুন আবিষ্কার ব্রি ধান ১০০ বা বঙ্গবন্ধু ধান ১০০। বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা এই জাতের ধান শোভা পাচ্ছে ময়মনসিংহের ফুলপুর মাঠে।
ফুলপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রেজোয়ান বিন হাফিজ প্রান্তের সহযোগিতায় ফুলপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল হাসান কামু ব্রি ধান১০০ এর বীজ সংগ্রহ করেন। পরে উপজেলার ইমাদপুরের কৃষক রজব আলীর মাধ্যমে চাষ করা হয়। ব্রি ধান ১০০ এর জীবনকাল ১৪৮ দিন। হেক্টর প্রতি এর গড় ফলন হয় ৭.৭ টন। তবে অনুকূল পরিবেশ পেলে তা বেড়ে গড় ফলন ৮.৮ টন পর্যন্ত হয়। ফলে অন্য যে কোন জাতের চেয়ে কৃষকের আগ্রহ এর প্রতি বেশি হবে।
পূর্ণবয়স্ক গাছের উচ্চতা ১০১ সে.মি.। চাল মাঝারি চিকন ও সাদা। জিংকের পরিমাণ ২৫ মিলিগ্রাম/কেজি। এতে রোগ-বালাই ও পোকা- মাকড় আক্রমণ প্রচলিত জাতের তুলনায় খুব কম। উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানের প্লট পরিদর্শন করেছেন। জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আলমামুন বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে খাদ্যশস্যের অবাধ প্রবাহ বজায় রাখতে কৃষি বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন জাত আবিষ্কার করছেন। জাতের চমৎকার বৈশিষ্ট্যের জন্যে বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ কৃষকের মাঝে আশার সঞ্চার করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল হাসান কামু বলেন, কৃষি বিজ্ঞানীরা দেশের মানুষের প্রয়োজনে দিন রাত পরিশ্রম করে নতুন নতুন জাত উপহার দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কৃষি বিজ্ঞানীদের এমন আবিষ্কার প্রশংসনীয়। নতুন এই জাতের সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর