রাস্তার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট না হওয়ার কথা জানালেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াইয়ে নির্মিত ফ্লাইওভার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, ঈদের আগেই ২৫ এপ্রিল ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের গোড়াই ফ্লাইওভার ও সিরাজগঞ্জের নকল ব্রিজ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। যাতে করে ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানজট সহনীয় পর্যায়ে থাকে। যদিও এসব কাজের মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। বিশেষ বিবেচনায় ঈদের আগেই খুলে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে এসব অংশে যানজট হওয়ার সম্ভবনা নেই। বিকল্প রাস্তাগুলোতে যদি গাড়িগুলো ড্রাইভার্ট করে দেয়া যায় তাহলে মহাসড়কে ট্রাফিক চাপ কমবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের একটি সেন্টাল কন্টোল রুম থাকবে। বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা থাকবে। এছাড়াও মহাসড়কে পুলিশের পক্ষ থেকেও বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের সাথেও আমরা কিছু কিছু বিষয় সম্বনয় করছি। ২ বছর করোনার পরিস্থিতির পরে এ বছর ঘরমুখো মানুষের চাপ বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা প্রস্তত রয়েছি।
এ সময় সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী একেএস মনির হোসেন পাঠান, সাসেকের প্রকল্প পরিচালক মো. ইসাক, সাসেক-১ এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক নূরে আলম, টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলামসহ সড়ক বিভাগেরর অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঈদ যাত্রায় বিগত সময়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় পর্যন্ত দুই লেন হওয়ায় এই ১৩ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজট হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তরবঙ্গসহ ২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১২/১৩ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। ঈদের আগে ৩৫/৪০ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। কোনো কোনো সময় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার গাড়িও পারাপার হয়। স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক যানবাহন পারাপার হওয়ায় দুই লেনের সড়কে যানজট লেগে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন