দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে গত দুদিন হালকা বৃষ্টি হয়েছে। আবার ২/১ জায়গায় কিছু সময় শিলাও পড়েছে। তাপমাত্রাও কম নয়। কিন্তু গ্রীষ্মকালের এ সময়ে রাতভর কুয়াশা আর শিশির পড়া দৃশ্য সবাইকে চমকে দিয়েছে।
এটা নিয়ে কেউ বলছেন এটি জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব আবার কেউ বলছেন এটি প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মাত্র। অনেকে শীতকালের এ অবস্থা গ্রীষ্মকালে দেখে অবাক ও শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। তবে আবহাওয়া অফিস বলেছেন, বাতাসের আর্দ্রতা ৮০ শতাংসের উপড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভয়ের কিছুই নেই। এটি প্রকৃতির স্বাভাবিকতা।
গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত দিনাজপুরের এ অঞ্চলে এ দৃশ্য দেখা যায়।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, গ্রীষ্মকালে শিশির কিংবা কুয়াশার সন্ধ্যা-রাত ও ভোর দেখে ভয়ের কিছু নেই। এটা প্রকৃতির স্বাভাবিকতা। মাঝে-মধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পরে অনেক সময় কুয়াশা পড়ে। এতে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। অপরদিকে রোদের প্রখরতা আছে। তাই পরিবেশে এই উষ্ণতা দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, রবিবার দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৮০ শতাংসের উপড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে কাল থেকে এ অবস্থা থাকবে না।
বিডি প্রতিদিন/এএ