গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলছে তোড়জোড়। মুখে যুদ্ধবিরতির কথা জোরেশোরে বললেও আদতে এখন যুদ্ধ থামাতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আহ্বান উপেক্ষা করেই অবরুদ্ধ উপত্যাকাটিতে চলছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দেশের হামলা। গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ট্রাম্প ঘোষিত ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবে প্রাথমিক সায় দিলেও কিছু বিষয় নিয়ে তাদের আপত্তি আছে। আর সেই আপত্তি নিষ্পত্তিতেই মিশরে চলছে আলোচনা।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা পরোক্ষ শান্তি আলোচনায় বুধবার যোগ দিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তবে এই দলে বিশেষ প্রতিনিধ হিসেবে আছেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার। দুই দিনের আলোচনায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে শীর্ষ মার্কিন প্রতিনিধিদের এই অংশগ্রহণ চুক্তির বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধানও এই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের আলোচনাও নির্দিষ্ট কোনো ফল বয়ে আনেনি। আলোচনায় যুক্ত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মূলত দুটি বিষয়ে মতপার্থক্য আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করছে। প্রথমত, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার। আর দ্বিতীয়ত, যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টি। চুক্তির প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল যেন পুনরায় যুদ্ধ শুরু না করে সে বিষয়ে নিশ্চয়তা চায় হামাস। আন্তর্জাতিক পক্ষ থেকে বাস্তব গ্যারান্টি চাওয়া হচ্ছে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া জানিয়েছেন, তাঁর দল চুক্তি করতে প্রস্তুত, তবে যুদ্ধের স্থায়ী অবসানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
অন্যান্য প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলো হলো, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দী ও আটককৃতদের মুক্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার, মানবিক সহায়তা বিতরণ এবং যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার শাসন ব্যবস্থা।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল