নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসার অভাবে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত রোগীর নাম সালাউদ্দিন (৫৫)। সে তমরদ্দি ইউনিয়নের ক্ষিরোদিয়া গ্রামের মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে। রবিবার সকাল ৭ টায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইফতেখার মাসুম রবিবার দুপুরে দুটি মেডিকেল তদন্ত টিম গঠন করেন এবং ডা. দীপ্ত চন্দ্র কুরীসহ ৩জনকে শাস্তিমূলক বদলি হিসেবে ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম, ডা. বাসভী রায় ও কবিরহাট উপজেলার ডা. ফজলুল বাকেরসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ও হাতিয়ায় একটি কমিটিসহ দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন জমা দিবে। সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুদ্দীন মাহমুদ চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় ডা. দীপ্ত চন্দ্র কুরী, উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মো. ইফতিয়ার ও ক্লিনার আশরাফ আলীসহ ৩ জনকে শাস্তিমূলক বদলি হিসেবে ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রবিবার সেহরি খাওয়ার পর স্ট্রোক করে সালাউদ্দিন নামে একজন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত কোনো ডাক্তার না থাকায় রোগীর চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। পরে সকাল ৭ টায় রোগী মারা যায়। এই ঘটনায় রোগীর স্বজনরা সুষ্ঠু বিচার দাবি করে ও হামলা ভাঙচুরের চেষ্টা করে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল