সর্বনাশা আগ্রাসী পদ্মা নদী অনেকটাই শান্ত। বর্তমানে পদ্মায় ঘোলা জলের উত্তাল স্রোত নেই। এ কারণেই রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া প্রান্তে দেখা যাবে নীল সাদার জলরাশি। ঈদযাত্রার মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে ফেরি অথবা লঞ্চে পদ্মাপাড়ি দেওয়ার সময় দৌলতদিয়া প্রান্তে দেখা মিলবে নীল সাদা জলরাশি। এই জলরাশি পদ্মা যমুনার মিলনস্থল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ।
নদী শান্ত থাকায় যেন দুভাগে বিভক্ত হয়েছে পদ্মা আর যমুনা নদী। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ প্রান্তে পদ্মা নদী। অন্যদিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া প্রান্তে যমুনা নদী। ঈদযাত্রায় লাখো যাত্রীরা এবার শান্ত পদ্মায় নীল সাদা জলরাশিতে মুগ্ধ হতে পারবে। পদ্মা যমুনার এই জলরাশিতে ডিঙ্গী নৌকায় রূপালী ইলিশ ধরাও মন কাড়বে অনেকের।
পদ্মা যমুনার জলরাশি নিয়ে সুদিপ্তা বিশ্বাস বলেন, অনেক সময় পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে পদ্মা যমুনার মিলনস্থান কোথায়? উত্তরে লিখতে হয় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ। আজ নিজ চোখে পদ্মা-যমুনার সৌন্দর্য্য দেখলাম। সত্যি অপরূপ সৌন্দর্য্য। ঈদযাত্রায় ঘরমুখো লাখো মানুষ এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবে। শখের মুঠোফোনে ফেরি অথবা লঞ্চ থেকে ক্যামেরাবন্দি করা যাবে।
গোয়ালন্দের বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন বলেন, পদ্মার অপরূপ সৌন্দর্য্য সত্যি অসাধারণ। দিনের বেলায় নীল সাদা জলরাশির খেলা। পদ্মায় পাল তোলা নৌকা ভেসে যাওয়া। সন্ধ্যার পর প্রদীপের আলোতে শত শত ট্রলারে পদ্মার বুকে মাছ ধরার দৃশ্য সত্যি অসাধারণ। পদ্মা যমুনাকে কেন্দ্রে করে গোয়ালন্দে একটি পর্যটন এলাকা করার পরিকল্পনা করে সেটি বাস্তাবায়ন করা যেত। দীর্ঘদিনে সেটি হয়নি বলে আমাদের কষ্ট।
পদ্মা যমুনার মিলনস্থান দেখতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ গোয়ালন্দ মহকুমাকে ভিত্তি করে রাজবাড়ী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারে উচিত পদ্মা যমুনার মিলনস্থানকে ঘিরে একটি পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফা মুন্সী বলেন, পর্যটন কর্পোরেশনের সাথে বেশ কয়েকবার ভার্চুয়ালি সভা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি পদ্মাপাড়ে পর্যটন এলাকা করার জন্য।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন