পটুয়াখালীর গলাচিপায় তিন সন্তানের জননী এক বিধবা নারীর ভাতের হোটেল ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৪ এপ্রিল) উপজেলার দক্ষিণ চরবিশ্বাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই গ্রামের মৃত জাকির চৌকিদারের স্ত্রী ভুক্তভোগী মোসা. ইয়াসমিন বেগম (৪০) ও তার বড় ছেলে মো. সায়েম (১৮) গুরুতর আহত হন।
এসময় স্থানীয়রা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে ইয়াসমিন বেগম বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আ. মতলেব আকনের ছেলে ও বর্তমান ইউপি সদস্য মো. তোফাজ্জেল আকনকে (৫০) প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করেন।
সরেজমিন ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরবিশ্বাস গ্রামে আমগাছিয়া স্লুইজগেট সংলগ্ন বিধবা ইয়াসমিন বেগমের ভাতের হোটেলে ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বর্তমান ইউপি সদস্য তোফাজ্জেল আকনের নেতৃত্বে ২০-২২ জন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বিধবা ইয়াসমিনের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর, মারধর, লুটপাট ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে ভুক্তভোগী ইয়াসমিন অভিযোগ করেন।
বাদী মোসা. ইয়াসমিন বেগম বলেন, বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ায় চিকিৎসারত অবস্থায় আমরা হামলা আতঙ্কে আছি। তাই আমি আইনের কাছে অতি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য তোফাজ্জেল আকনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ