মাছ চুরির অভিযোগে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সুমন মিয়া নামে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবককে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ নড়েচড়ে বসে।
রবিবার দিবাগত রাতে নির্যাতনের অভিযোগে ফারাজ আলী নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির।
আটক ফারাজ আলী (৫৫) ঘোড়াঘাট উপজেলার তাঁতিপাড়া-বেলওয়া গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে। আর নির্যাতনের স্বীকার সুমন মিয়া (২৫) ঘোড়াঘাট উপজেলার পালশা ইউনিয়নের ছয়ঘট্টি-বেলওয়া গ্রামের লতিফ মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ধানের জমিতে থাকা খোলসানী (বাঁশ দিয়ে তৈরি মাছ ধরার বিশেষ ফাঁদ) থেকে মাছ চুরির অভিযোগ এনে সুমন মিয়াকে গাছের সাথে রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে নির্যাতন করেছে কয়েকজন ব্যক্তি। গত ২২ এপ্রিল ভোরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ভাতছালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পর তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। পরে ২৩ এপ্রিল রাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি অভিযোগ দেয় সুমনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম।
নির্যাতন স্বীকার সুমনের পরিবারের দেওয়া তথ্য এবং ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলার ভাতছালা গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে শাহারুল ইসলাম (৪৫) ও একই গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর (৩২) ও তাঁতিপাড়া-বেলওয়া গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে ফারাজ আলী (৫৫) সুমনকে একটি গাছের সাথে বেঁধে লাঠি ও হাত দিয়ে পর্যায়ক্রমে নির্যাতন করছে।
নির্যাতনের স্বীকার সুমনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছোট মাছ ধরার জাল নিয়ে জমিতে টাঙ্গিয়ে দিয়ে আসে আমার ছোট ভাই সুমন। শুক্রবার ভোরে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে সে জমিতে যায় জাল থেকে মাছ নিয়ে আসতে। সেই সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের মাছ চুরি করার মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার ভাইকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির জানান, শনিবার রাতে স্থানীয় ইউপিসহ সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের পর রবিবার ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত অবস্থায় ভর্তি সুমনকে আমরা দেখতে যাই। বর্তমানে সে সুস্থ আছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফারাজ আলীকে আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই