টানা ছুটিতে বৃষ্টিবাধা উপেক্ষা করে নানা বয়সী পর্যটক আসতে শুরু করেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত টানা ছুটি কাজে লাগাতে দেশের অন্য এলাকাগুলোর চেয়ে পাহাড়ি জনপদ যেন টানছে সবাইকে। করোনার বিধিনিষেধে ২ বছর গৃহবন্দী ছিলেন সবাই। এবার সেই বাধা কেটে যাওয়ায় পর্যটকের সমাগমে দীর্ঘদিন পর চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
জেলা সদর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে নীলাচল, ৪ কিলোমিটার দূরে কৃত্রিম লেকের পর্যটন কেন্দ্র মেঘলা, পাহাড়ি ঝর্ণা শৈলপ্রপাত, মেঘ ছোঁয়া পাহাড়চূড়া চিম্বুক, পাহাড়চূড়ায় বিশাল জলাশয় বগালেক, মেঘের রাজ্য নীলগিরি, দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিংঢং, কেওক্রাডং এবং নীলদিগন্ত ও তমাতুঙ্গীসহ রেমাক্রী, নাফাখুম, দেবতাখুম, আমিয়াখুম, দেশের সবচেয়ে উঁচু স্থলপথ আলীকদম-থানচি সড়ক এবং থানচির তিন্দু ও বড় পাথরেও পর্যটকের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ঈদের প্রথম দুইদিন বৃষ্টি থাকায় পর্যটক সমাগম তেমন একটা হয়নি। কিন্তু তৃতীয় দিন থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেও বেড়েছে পর্যটকদের পদচারণা।
সাধারণ পুলিশের পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। নতুন গড়ে উঠলেও পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে চেষ্টার অন্ত নেই তাদের।
টুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান রিজিয়নের পুলিশ সুপার আবদুল হালিম বলেন, “বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকরা যাতে ঈদের ছুটি নির্বিগ্নে উপভোগ করতে পারেন সেজন্য অফিসারসহ সকল সদস্যের ঈদের ছুটি আমরা বাতিল করেছি।”
হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথমদিকে পর্যটক কম হলেও এখন পর্যটকদের উপস্থিতিতে শহরের হোটেল-মোটেল-রিসোর্টগুলোতে রুম খালি পাওয়া যাচ্ছে না।
হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তবুও আমরা চেষ্টা করছি যাতে পর্যটকরা কোনো না কোনোভাবে একটা আশ্রয় খুঁজে পায়।
শুক্রবার ও শনিবার দু’দিনে প্রায় ১ লাখ পর্যটক বান্দরবানের বিভিন্ন নৈসর্গিক স্পট পরিদর্শন করবেন- এমন প্রত্যাশা বান্দরবান জেলা প্রশাসনের।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন