দাবীকৃত ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ভেকু মেশিন দিয়ে ভাংচুরের অভিযোগে এক নারী বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। সোমবার আদালতে অভিযোগ করা হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াছমিন আরা মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিরাজগঞ্জ পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রায়হান গফুর, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাবু, থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদুল ইসলাম ফরিদ সরকার ও ভেকু মেশিনের চালক নলকার সেনগাতি এলাকার সুজন মিয়া। বাদী জাকিয়া সুলতানা সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের মেয়ে।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন ও মামলার নথি থেকে জানা যায়, পৈত্রিক সূত্রে সলঙ্গা বাজারের ধান হাটায় সাড়ে ৩ শতক ভূমির মালিক হন বাদী জাকিয়া সুলতানা। ওই জায়গায় তিনি বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। ইতোমধ্যে এক তলার ছাদ ঢালাই হয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় শনিবার সন্ধ্যায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভেকু মেশিন দিয়ে নির্মাণাধীন ভবনের সামনের অংশ ভাঙ্গতে থাকে। সংবাদ পেয়ে সলঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। তবে ভবন ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত ভেকু মেশিনটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যান তারা। এ ঘটনায় বাদীর ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
চাঁদা দাবীর অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার আসামি সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রায়হান গফুর বলেন, প্রভাব খাটিয়ে ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর সরকার ও তার মেয়ে সলঙ্গা হাটের প্রবেশপথ দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছিল। এলাকার হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে ওই বাড়ি ভেঙ্গে দেয়ার মাধ্যমে হাটের প্রবেশপথ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিনিধি/আবু জাফর
