শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের দেওয়ান কান্দি গ্রামে ঘাস খেত থেকে ধরা হয়েছে পাঁচটি বন বিড়ালের ছানা। বাচ্চাগুলো খুবই ছোট থাকায় প্রাণিসম্পদ অফিস তা লালন পালনে ব্যর্থ হয়। পরে রাত ৮ টার দিকে বন কর্মকর্তা পুনরায় একই স্থানে ছানাগুলোকে অবমুক্ত করেন।
মঙ্গলবার উপজেলার গোপালপুর দেওয়ানকান্দি এলাকার স্থানীয় লালন মাদবর গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে দেখতে পান বনবিড়ালের ছানাগুলোকে। প্রথমে বিড়াল ছানা ভেবে ধরতে গেলে মা বনবিড়াল ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে আসে। লালনের চিৎকার শুনে লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে আসে গ্রামের লোকজন। লোকজন দেখে মা বনবিড়াল পালিয়ে গেলেও আটক করা হয় বনবিড়াল ছানাগুলোকে। পরে সেগুলোকে বাড়িতে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী নুর আলম মাতবর বনবিড়াল ছানাগুলোকে নিয়ে যান জাজিরা উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক জানান, বনবিড়াল বাচ্চাগুলো আমার হাতে তুলে দিলে সেগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে বাচ্চাগুলো পরীক্ষা করে জানা যায় সুস্থ আছে। কিন্তু বাচ্চাগুলো এতোই ছোট যে তা লালন-পালন করা সম্ভব নয়। তাই যেখান থেকে বাচ্চাগুলো ধরা হয়েছে, সেখানেই সেগুলোকে অবমুক্ত করা হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. আতিকুর রহমান বলেন, বনবিড়ালের ছানাগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখেছি, বাচ্চাগুলো সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। তবে বাচ্চাগুলো এত ছোট যে তা আমাদের লালন-পালন করা সম্ভব নয়। এগুলো লালন-পালন করতে খুলনায় পাঠাতে হবে। সেখানে নিতে নিতেই বাচ্চাগুলো অসুস্থ হতে পারে বা মারাও যেতে পারে। আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখান থেকে বাচ্চাগুলো ধরা হয়েছে, সেখানেই অবমুক্ত করা উচিত। যাতে মা বনবিড়াল বাচ্চাগুলোকে লালন-পালন করতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম