গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ি এলাকায় লিচু চাষ করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস উন্নত প্রযুক্তি ও মেডিসিন দিতে না পারার কারণে এই ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি চাষিদের।
উপজেলা কৃষি অফিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৮০ বিঘা জমিতে আবাদ হয়েছে লিচুর আবাদ। এ বছর লিচু চাষের ফলন তেমনটা ভালো না থাকায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বছর উপজেলায় বেদানা, চাইনিজ থ্রি, গোলাপি, রাজশাহী, বোম্বাই, দেশি জাত সহ বিভিন্ন প্রজাতির করেছে চাষিরা। কোন কোন চাষি লিচুর আবাদ করে লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করে সর্বহারা হয়ে পড়েছে।
লিচু চাষি লোকমান হোসেন জানান, ঠিকাদারি ব্যবসা বাদ দিয়ে নিজের বাড়ির পাশে জমিতে ১৪০টি বিভিন্ন জাতের লিচুর চারা রোপণ করেছি। গত ৬ বছর আগে এক একটি লিচুর চারা পনেরশো টাকা করে ক্রয় করে রোপণ করি। এরপর বাগানে ৬ বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়। লিচু বাগানে ফুল আসে কিন্তু গুটি আসার পরেই ঝড়ে পড়ে যায়। এ কারণে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হয়েছি। কিন্তু তারা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখেননি। এছাড়া অফিসের উন্নত প্রযুক্তি ও মেডিসিনও দিতে পারেনি । এতে তার জীবনের সমস্ত অর্জিত টাকা এই বাগানে নষ্ট হয়ে বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
বোয়ালী ইউনিয়নের ব্লক সুপারভাইজার হরিপদ রায় জানান, এ বছর বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে ওই বাগানে লিচু আসে নেই আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিষয়টা সঠিক নয়। সঠিক পরিচর্যা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, এখনই কৃষি অফিসারের কাছে বিষয়টি জেনে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিকে প্রণোদনার দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হবে। গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে এখনই আলোচনা করা হচ্ছে। তবে কী ধরনের চারা রোপণ করেছে সেটা ভালো ভাবে দেখতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর