২১ মে, ২০২২ ১৭:০৭

ঝিনাইদহে কালবৈশাখীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

ঝিনাইদহে কালবৈশাখীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

ঝিনাইদহে ১০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ৬টার দিকে হঠাৎ করেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। মুহূর্তেই বৃষ্টির সাথে শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়। এতে কালীগঞ্জ উপজেলার এনায়েতপুর, রঘুনাথপুর, পিরোজপুর ও খোসালপুরসহ ১০টি গ্রাম ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

১০ মিনিটের স্থায়ী ঝড়ে বাড়িঘর, আম, কলা, ফসল, বিদ্যুতের পোল ও বিভিন্ন গাছ লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। একই সাথে হরিণাকুন্ডু উপজেলা জোড়াদহ, মালিপাড়া ও তৈলটুপিসহ কয়েকটি গ্রামে পান ও কলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

এনায়েতপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, ‘১০ মিনিটের ঝড়ে আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। গাছ-পালা ভেঙে গেছে। বিদ্যুতের পোল ভেঙে গেছে। রাস্তা বন্ধ ছিল।’ পিরোজপুর গ্রামে আব্দুস সাত্তার জানান, ‘সকালে হঠাৎ করে খুব ঝড় শুরু হয়। এর আগে, আম্পানের সময় যে ঝড় হয়েছিল। তেমনি করে ঝড় আজকেও হয়েছে। আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেছে। আম বাগান, লিচু বাগান ও কলা বাগানের ক্ষতি হয়েছে।’

কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রথীন্দ্রনাথ বসাক জানান, ‘ঝড়ে ৩৩ টি বিদ্যুতের পোল ভেঙে গেছে। তাছাড়া ৩৩ কেভি লাইনের উপর গাছ পড়েছে আর তার ছিড়ে গেছে। আমাদের সব স্থানেই মেরামতের কাজ চলছে। কখন ঠিক হবে তা সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। তবে বিকেলের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।’

এদিকে, শৈলকুপা উপজেলার কুলচারা গ্রামে সবজি তুলতে গিয়ে যায় স্বামী গোলাম নবী ও তার স্ত্রী রূপা খাতুন বজ্রপাতে মারা গেছেন। অপরদিকে সদর উপজেলার ডেফলবাড়িয়া গ্রামে বজ্রপাতে আশরাফুল ইসলাম নামের এক কৃষকের গোয়াল ঘরের দুটি মহিষ মারা গেছে। 

এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের মাঠে এক কৃষকের ১০ কাঠা জমির বোরো ধান বজ্রপাতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম জানান, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছি। তালিকা করা শেষ হলেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে। যত দ্রুত সম্ভব মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ পেলেই ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগীতা করা হবে।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর