কুষ্টিয়ার খোকসায় ছোট ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় ইব্রাহীম আলী (৩২) নামে এক যুবক দ্বিতীয় দফায় হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শোমসপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতের বাবার নাম ওসমান আলী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইব্রাহীম আলী জানান, রোজার ঈদের একদিন পর তার ছোট ভাই সম্রাটের বিয়ে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে বাড়িতে একটি অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় কয়েকজনকে দাওয়াত না দেওয়ায় তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে দ্বিতীয় দফায় শনিবার আবারও হামলা চালায়। প্রথম দফায় হামলার ঘটনায় ইব্রাহীম খোকসা থানায় একটি জিডি করেন। এ কারণে হামলাকারীদের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। পুনরায় হামলার ভয়ে পরিবারের সব পুরুষ বাড়ি থেকে আত্মগোপনে থাকতে শুরু করেন। এভাবে ১০ দিন পালিয়ে থাকার পর থানা থেকে জিডি তুলে নেওয়ার শর্তে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ভুক্তভোগীদের বাড়িতে তুলে রেখে আসেন। এর তিনদিন পর শনিবার প্রতিপক্ষ তার ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়েছে বলে তার অভিযোগ।
ইব্রাহীম আরও জানান, তিনি পেশায় একজন ক্লিনিকের কর্মচারী। বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। হামলাকারীদের বাড়ির সামনে পৌঁছানোর সাথে সাথে তারা হামলা করে। বেধড়ক মারধর করে ফেলে রেখে যাওয়ার পর পরিবারের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানান।
শোমসপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় মেম্বার মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ইব্রাহীমের ছোট ভাই সম্রাটের বয়স সর্বোচ্চ ১৩ বছর হবে। তার সাথে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বিয়ে দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ইব্রাহীমের লোকজন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা ও মারধর করে। এ ঘটনার পর কয়েকদিন ইব্রাহীমরা আত্মগোপনে ছিলেন। পরে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তারা গ্রামে ফিরে আসেন। এরপর প্রতিপক্ষের লোকেরা হামলা করেছে বলে শুনেছি।
এদিকে, প্রথম হামলার ঘটনায় মধ্যস্থতাকারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজার সাথে কথা বলার জন্য তার ব্যক্তিগত ফোনে কল করা হয়, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই