২২ মে, ২০২২ ১৯:৫২

জিয়াউর রহমানের মাজারে শেরপুর পৌরসভা সচিবের শ্রদ্ধা নিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

জিয়াউর রহমানের মাজারে শেরপুর পৌরসভা সচিবের শ্রদ্ধা নিবেদন

জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাঁ থেকে শেরপুর পৌরসভার সচিব ইমরোজ মুজিব ও কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল

সরকারি চাকরিবিধি ভেঙে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার সচিব ইমরোজ মুজিবের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকালে শহর বিএনপির নেতা ও পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ জুয়েলের সঙ্গে ঢাকায় গিয়ে তিনি এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

এরপর ওই বিএনপি নেতা নিজেই পৌরসভার সচিবকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের ছবি তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। একপর্যায়ে আজ রবিবার সেই ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে শহরজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কীভাবে বিএনপি নেতাকর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন- তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার দাপ্তরিক কাজ নিয়ে ঢাকায় যান পৌরসভার সচিব ইমরোজ মুজিব। সঙ্গে ছিলেন পৌরসভার কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ জুয়েল। কাজ শেষ করেই দু’জনই ছুটে যান দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মাজারে। সেই সঙ্গে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর মাজারে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকেন, ফাতেহা পাঠ ও জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন তারা।

অথচ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দল ও এর সহযোগী সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। সেই-সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং সহায়তাও করতে পারবে না। কিন্তু এসব বিধিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজনৈতিকদল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার মাজারে গিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চাইলে বগুড়া বারের সাবেক সভাপতি ও আইনজীবী গোলাম ফারুক বলেন, তিনি চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন। সেই সঙ্গে এটি একটি শাস্তিমূলক অপরাধও বটে। বিষয়টি স্থানীয় সরকারসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আমলে নিয়ে পৌরসভার ওই সচিবের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে ছবিটি ব্যাপক ভাইরাল হওয়ার পর পৌরসভার সচিব ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এজন্য গণমাধ্যম কর্মীদের ম্যানেজ করতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে শেরপুর পৌরসভার সচিব ইমরোজ মুজিব উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তিনি কোনো মাজারে যাননি দাবি করে বলেন, এসব আপনারা (সাংবাদিকরা) পান কোথায়? ছবিটি যিনি ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন তাকেই জিজ্ঞেস করুন। এই সম্পর্কে আমার কোনো বক্তব্য নেই।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর