২৫ মে, ২০২২ ২২:২১

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

বরগুনা প্রতিনিধি

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

বরগুনার আমতলী উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে সালমা (৩৮) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে বুধবার সকালে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

জানা গেছে, ২০২১ সালে আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মো. গেন্দু মিয়ার সাথে ঢাকার কেরানিগঞ্জের কুন্ডা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মৃত মমিন মাঝির মেয়ে সালমার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সালমার পরিবার থেকে গেন্দু মিয়াকে বিভিন্ন উপহার দেওয়া হয়।

কিন্তু বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই গেন্দু মিয়া সালমার কাছে তার বাবার বাড়িতে পাওয়া জমি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। সালমা এতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই গেন্দু মিয়া মারধর করেন। মঙ্গলবার সকালে সালমাকে মারধরের পর ঘরে আটকে রাখেন। বুধবার সকালে আবার তাকে যৌতুকের জন্য বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে প্রতিবেশী সিপন সরকার লোকজন নিয়ে বুধবার সকালে তাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

আহত সালমা অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী গেন্দু মিয়া আমার বাবার বাড়িতে পাওয়া জমি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। আমি টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই সে আমাকে মারধর করে। মঙ্গলবার আমাকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখে। বুধবার সকালে আবার বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।

অভিযুক্ত গেন্দু মিয়া বলেন, আমি যৌতুকের জন্য মারধর করিনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে এ ঘটনা সাজিয়েছে।

সালমার প্রতিবেশী সিপন সরকার বলেন, গেন্দু মিয়া প্রায়ই সালমাকে যৌতুকের জন্য মারধর করে। মঙ্গলবার ও বুধবার বাঁশের লাঠি দিয়ে দু’দফা পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে আমি তাকে বুধবার সকালে লোকজন নিয়ে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করি।

আমতলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারাহ বলেন, গৃহবধূ সালমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর