জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২০ সংশোধনসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাগেরহাটের মোংলা বন্দরেও কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডি এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মোংলা বন্দরসহ দেশের ১১টি শুল্ক স্টেশনে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে মোংলা বন্দরের আমদানি-রফতানি বন্ধ।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডি এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, মোংলা’র সাধারণ সম্পাদক শেখ লিয়াকত হোসেন জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২০ সংশোধনের দাবি একাধিকবার জানিয়ে আসলেও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে। এতে মোংলা বন্দরসহ দেশের ১১টি শুল্ক স্টেশনে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
কর্মবিরতির প্রথম দিনে (মঙ্গলবার) দিনভর কাস্টমসে সব ধরনের পণ্য খালাস কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানিয়েছেন সিএন্ডএফ নেতারা।
এদিকে, কর্মবিরতির কারণে মোংলা বন্দরে পণ্য ছাড় বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আহরণও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে বন্দরে পণ্যজটের আশঙ্কাও রয়েছে। তাই দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন আমদানি ও রফতানির সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই