যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সোমবার বিকালে যমুনার পানি বেড়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বাড়ায় জেলার ৬ উপজেলায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
টানা বর্ষণ আর উজানের নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, জিঞ্জিরামসহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ২২ সেন্টিমিটার বেড়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা বন্যা প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে জামালপুরের ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বসতভিটা, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক। বসতঘরে পানি প্রবশে করায় বন্যা দুর্গতরা বাড়িঘর ছেড়ে উচুঁ সড়ক, বাঁধ, রেলওয়ে স্টেশনে আশ্রয় নিচ্ছে। সোমবার সকালে ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম বামনা ঘোনাপাড়ায় বন্যার পানিতে ডুবে আরিফা নামের ৮ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রান বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, বন্যা দুর্গতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলায় আগাম ৩৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবিলায় ৮৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৮০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম