ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে। আজ রাত থেকেই লোকালয় থেকে বন্যা পানি নামতে শুরু করেছে। পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও ভাঙাস্থান দিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। পানি ভাঙার স্থান থেকে নিচের দিকে প্রবাহিত হওয়ায় নিচুর দিকে থাকা নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামের এই বন্যাকে সাধারণত বলা হয় ফ্লাসফ্লাড। এই বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এই বন্যার পানি সাধারণত ১-২ দিন থাকে। তবে পানির স্রোত বেশি থাকায় ১-২ দিনেই ধ্বংস করে দেয় সব কিছু।
ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নুরুল আফসার জানান, মুহুরী, কহুয়া ও ছিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী, পরশুরামে যে বন্যা হয় সে বন্যার পানিগুলো আবার এই নদীগুলোর ঢালু স্থান দিয়ে ফেনী নদীতে একত্রিত হয়। তারপর ফেনী নদী দিয়ে সন্দীপ চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে চলে যায়। বঙ্গোপসাগর আমাদের খুব কাছে হওয়ায় পানি নামতে দেরি হয় না।
এর আগে টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর ৪ টি স্থানে নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামের ১০ প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, মাছের ঘের ও গ্রামীণ সড়ক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, নদীর পানিতে তীব্র স্রোত রয়েছে। অতি জরুরী ভিত্তিতে পানি নামার সাথে সাথে বাঁধগুলো মেরামত করা হবে। মুহুরী নদীর সমস্যা স্থায়ী সমাধানের জন্য গত ৭ এপ্রিল পরিকল্পনা কমিশনের মূল্যায়ন সভায় বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে। মুহুরী নদীর স্থায়ী সমাধান হবে বলে আমি আশা করি।
ফেনীর জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন