শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাটে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। এতে আগের যে ব্যস্ততা ফেরিঘাট এলাকায় ছিল, তা এখন আর নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা রয়েছে বিপাকে। দোকান ভাড়াসহ কর্মচারীর বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে ফেরিঘাটের ব্যবসায়ীরা। শনিবার বিকেল ৩টায় জাজিরা ঘাটে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
দেখা যায়, মাঝিকান্দি ফেরিঘাট প্রান্তে নেই বড় কোনো গাড়ির শব্দ। ফেরিঘাট দখল করে রেখেছে সিএনজি। আর ফেরিঘাটের মাঠে রয়েছে বাস স্ট্যান্ড। অনেকেই দোকান খোলেনি। আবার কেউ দোকান নিয়ে যাচ্ছে অন্য কোথাও। পাশে লঞ্চঘাট থাকাতে কিছুটা লোকজন দেখা যায়।
আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, দুই দিন ধরে এই এলাকায় ফেরি আসে না। শুধু লঞ্চের যাত্রীদের উপর ভিত্তি করে ব্যবসা করা যায় না। আর আগে যেই পরিমাণ মানুষ লঞ্চে আসত, তাও আসে না। পদ্মা সেতু হওয়ার পর যাত্রীরা আসা-যাওয়া করছে না।
আরেক ব্যবসায়ী হালিম মিয়া বলেন, এখানে আর ব্যবসা করা যাবে না। যেমন দোকান রয়েছে, তেমন ক্রেতা নেই। এতে করে ফেরিঘাটে আর ব্যবসা করা যাবে না। পদ্মা সেতু হওয়াতে ফেরি বন্ধ হয়ে গেছে। এই এলাকায় আর যানবাহন আসবে না। তাই আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের মাওয়া বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, গত শনিবার সেতু চালু হয়েছে। এতে এই নৌ-রুটে কোনো গাড়ি আসে না। ২৭ জুন একটি ফেরি চালু রেখেছিলাম মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য। নদী নাব্যতার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। গাড়ি থাকলে ফেরি চলাচল শুরু করবে। এখন আর মানুষের আগের মতো কোনো ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
