কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। তবে পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ এখনো চলছে। দুর্গত এলাকায় খাদ্য সংকটের পাশাপাশি পানিবাহিত রোগ বেড়েছে। বন্যায় দুর্গত ও ভাঙন কবলিতদের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসন সুবিধা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ঘরে ফিরতে যাওয়া ও নদী ভাঙন কবলিতরা যাতে দ্রুত সহায়তা পায়, সেদিকে জেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
চলতি বন্যায় এখনও প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রয়েছে পানি। তবে পানি ধীরগতিতে সরে যাওয়ায় ঈদ পরবর্তী ছুটি শেষে সেগুলো সংস্কার ও পরিষ্কার করাসহ খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানায় শিক্ষা বিভাগ। এছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখানকার কৃষকরা, যাদের প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমির নানা ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, তালিকা তৈরির কাজ চলছে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। কৃষি প্রণোদনাসহ বীজ সহযোগিতা দেওয়া হবে।
অপরদিকে, তিস্তা ও ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদী পাড়ের মানুষজন। ঘরবাড়ি, বসতভিটে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে নদী ভাঙনের হুমকিতে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা ও ধরলার ২২টি পয়েন্টে নদী ভাঙলেও তারা কাজ করছেন বালুর বস্তা ফেলাসহ বিভিন্ন উপায়ে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই