কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। তবে পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ এখনো রয়েছে। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি পানিবাহিত রোগ বেড়েছে। বন্যায় দুর্গত ও ভাঙন কবলিতদের জন্য ত্রাণ সহায়াতার পাশাপাশি পুনর্বাসন সুবিধা প্রয়োজন বলে দাবি বানভাসীদের।বন্যার পানি গত তিনদিন ধরে নেমে যাওয়ায় উঁচু স্থানে ও বাঁধে আশ্রয় নেয়াদের কেউ কেউ ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।
পরপর দুদফা বন্যায় প্রায় সাড়ে ৩শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যদিও এখন ঈদুল আযহার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে তবে পানি নেমে গেলেও ঈদ পরবর্তী এসব প্রতিষ্ঠান পরিস্কার করে এরপর শ্রেণি পাঠদান শুরু করার প্রত্যাশা জেলা শিক্ষা বিভাগের। এদিকে, সবকটি নদনদীর পানি কমলেও এখনও ভাটিতে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বেশি থাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। চলতি বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখানকার কৃষকরা যাদের প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমির নানা ফসল পানিতে ডুবে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে অধিকাংশ।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দ্রুত তাদের সরকারি কৃষি প্রণোদনাসহ বীজ সহযোগিতা দেয়া হবে।অপরদিকে, তিস্তা ও ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদী পাড়ের মানুষজন। ঘরবাাড়ি, বসতভিটে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে নদী ভাঙনের হুমকিতে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্র্ড জানায়, তিস্তা ও ধরলার ২২টি পয়েন্টে নদী ভাঙলেও তারা বিভিন্ন পয়েন্টে বালুর বস্তা ফেলাসহ বিভিন্ন উপায়ে প্রতিরোধে কাজ করছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম