সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮০ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমায় বসতবাড়ীতে ফিরতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। কিন্তু বন্যা কবলিত মানুষদের বসতভিটার নিচের অংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বসতভিটা মেরামত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। স্যাঁতসেঁতে ও কাদাযুক্ত বসতবাড়ীতে রোগ জীবানুর আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এদিকে পানি নামার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত ফসল দেখে কৃষকরা দুঃখ করছেন। কিভাবে ক্ষতি পুষাবেন তা নিয়ে চিন্তা তাদের।
চলতি বন্যায় প্রায় ১২ শতাধিক বসতভিটা সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। জায়গা জমি না থাকায় পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে কেউবা ওয়াপদার ওপর খুপরি তুলে বসবাস করছেন। সার্বিকভাবে বন্যা কবলিত মানুষরা বিভিন্ন সংকটে রয়েছেন।
ক’দিন পর ঈদ। বন্যা কবলিত এলাকার কৃষক-শ্রমিকদের কাজ না থাকায় ঈদ কিভাবে পার করবেন তা নিয়েও চিন্তা তাদের। এই অবস্থায় ভুক্তভোগীরা বন্যা পরবর্তী সরকারি-বেসরকারি সহায়তা কামনা করছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য আলাদা বরাদ্দ না থাকায় ঈদের আগে বন্যা কবলিত এলাকায় ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার পানি সম্পূর্ণ নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে তালিকা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। পাউবোর বাঁধের দু’একটি পয়েন্ট সামান্য ক্ষতি ছাড়া বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আর বন্যার কারণে যে সকল পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছিল সেখানে জিও ব্যাগ ফেলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল