নীলফামারী জেলায় মাছের ঘাটতি ৪ হাজার ৫০৯ দশমিক ১৮ মেট্রিক টন। সারা বছর ৪১ হাজার ৭৭৪ দশমিক ১৮ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ৩৭ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন। ওই ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে বাইরের জেলা থেকে মাছ আমদানি করে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানানো হয়।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক) আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরুন চন্দ্র বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান, মৎস্য বিভাগের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, মৎস্য খামার ব্যবস্থাপক মাহবুবার রহমান, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শারমিন আক্তার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ জেলায় ২০১০ সালে মাছের ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার ৭৮৬ মেট্রিকটন। মৎস্য চাষের উন্নতির ফলে কমছে সে ঘাটতি। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বছরে ঘাটতির পরিমাণ এসে দাঁড়ায় ৬ হাজার ১৫২ মেট্রিকটনে। সে বছর জেলায় ৩৬ হাজার ১৫২ মেট্রিক টন মাছের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছিল ৩০ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আরও চাহিদা বেড়ে ৪১ হাজার ৭৭৪ দশমিক ১৮ মেট্রিক টনে এসে পৌঁছলেও ঘাটতির পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫০৯ দশমিক ১৮ মেট্রিক টনে। এক বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৭ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ররুন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, মাছ উৎপাদনে ব্যবহার হচ্ছে ২৯ হাজার ৭২৭টি পুকুর, ৭৪টি বিল, ২০টি নদী, ১৩টি খাল, ৭৯টি প্লাবনভূমি, ৩৭টি জলা ও ১১টি তিস্তা সেচ খালে খন্ড অংশ। যার মোট আয়ত ৩৫ হাজার ৩৭৭ দশমিক ৭২ হেক্টর। মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৭ হাজার ২২২ জন, মৎস্য চাষির সংখ্যা ২৫ হাজার ৯২৮ জন, মৎস্য সমিতর সংখ্যা ৬৮টি, প্রশিক্ষিত মৎস্য চাষি রয়েছে ১ হাজার ৬৯৮ জন।
তিনি বলেন,‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শ্লোগানে মৎস্য সপ্তাহটি চলবে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত। সপ্তাহের কর্মসূচিতে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, বিভিন্ন জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ, মাছ চাষিদের মধ্যে উপকরণ বিতরণ, পুকুরের মাটি ও পানি পরীক্ষা, সফল চাষিদের পুরস্কার বিতরণ করা হবে।’
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর