ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় রানীশংকৈল থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। শনিবার বিকালে বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা খতিবর রহমান ও থানার দুই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বিলাশ চন্দ্র রায় ও আহাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা তিনটি করেন। মামলাগুলোয় অজ্ঞাতনামা ৬৫০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ঐ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বাচোর ইউনিয়ন পরিষদের ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে প্রথমে জয়ী ইউপি সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ওই ফল প্রত্যাখ্যান করে পরাজিত ইউপি সদস্য-প্রার্থীর সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সেখান থেকে বের হতে বাধা দেন। এ সময় পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে কাজ না হওয়ায় হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ।
এ সময় মীরডাঙ্গী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মো. বাদশাহর আট মাসের শিশু কন্যা সুরাইয়া আক্তার আশা মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা খতিবর রহমান একটি মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই দিন রাতে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব শেষে ফেরার সময় মীরডাঙ্গী বাজারের ১০০ গজ দক্ষিণে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানার এএসআই বিলাশ চন্দ্র রায় একটি মামলা করেন। মামলায় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় অজ্ঞাতনামা ছয় শতাধিক জনের নামে থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কোন সাধারণ মানুষ এতে হয়রানি হবেনা। শুধু মাত্র দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ