রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানায় কলেজ শাখার এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে এক তরুণী। শনিবার রাতে মামলা করেন ওই তরুণী। ওই তরুণীকে প্রথমে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রবিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের নেয়ার কথা থাকলেও শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তাকে অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হারাগাছ পৌর এলাকার মিয়াপাড়ার ওই তরুণী রংপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। হারাগাছ সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী হারাগাছ কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শারাফাত হোসেন সোহাগ ওই তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার বাবা মোশারফ হোসেন একজন বস্ত্র ব্যবসায়ী।
অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের কথা বলে সোহাগ মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। শনিবার বিকেলে তরুণী জানতে পান সোহাগ গোপনে কাউনিয়ার মীরবাগ এলাকায় কয়েকদিন আগে বিয়ে করেছে। তখন তরুণী বিয়ের দাবিতে সোহাগের বাড়ির সামনে অবস্থান নিলে সোহাগ সটকে পড়ে। রাতে পুলিশ এসে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যায়। পরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়। রবিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রমেক হাসপাতালে পাঠানোর কথা থাকলেও শারীরিক সমস্যার কারণে তরুণীকে অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, তরুণী সোহাগের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা সোহাগকে খুঁজছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল