হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বান্ডা বিলকে কেন্দ্র করে আলোচিত সুজাতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় দীর্ঘ ২৬ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। দুইজন আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি থাকার পরও সাবেক চেয়ারম্যান এনাম খান ফরিদসহ ১৭ আসামি বেখসুর খালাস পেয়েছেন। অপর ১৪ আসামি বিচারচলাকালে মৃত্যুবরণ করে। সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম নাসিম রেজা এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি সকালে বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের দক্ষিণ দিকে খোয়াই নদীতে ভাসমান অবস্থায় শতমুখা গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর তিনদিন পূর্বে ১ জানুয়ারি রাত ১১টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এই ঘটনায় লাশ উদ্ধারের দিনই চেয়ারম্যান আব্দুল্লার স্ত্রী সাহিনা চৌধুরী অজ্ঞাত আসামি দিয়ে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন পর সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণাকালে বাদী সাহিনা চৌধুরী উপস্থিত না থাকলেও আসামীরা উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট সালেহ আহমদ ও এডভোকেট আবু বক্কর ছিদ্দিকী বলেন, এই রায়ে তারা অসন্তুষ্ট। দুইজন আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ১২ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণের পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও আসামিরা খালাস পাওয়ায় তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান ও এডভোকেট সুফি মিয়া এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই আদেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টিত হয়েছে। মামলার এজাহারে কোন আসামি না থাকলেও হয়রানীমূলকভাবে এই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং তারা দীর্ঘদিন আদালতে আসা যাওয়া করতে হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ