ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির ৬ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পুলিশ। অপরদিকে সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিমের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভোলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেফ হাসপাতালের মর্গে আবদুর রহিমের ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের ভাই আব্দুর রাজ্জাকসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এসময় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিহতের স্বজনদের সমবেদনা জানান এবং এই হত্যার বিচার দাবি করেন।
পরে দুপুর ২টায় শহরের গোরস্থান মাদ্রাসার মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাজা শেষে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ভোলা জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর জানান, দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে তাদের পক্ষ থেকেও মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সদর থানার এসআই মো. জসিম বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা করেন। একটি পুলিশ অ্যাসোল্ট অপরটি হত্যা মামলা। পুলিশ অ্যাসোল্ট মামলায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ ১০জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় ছয়জন, দৌলতখানে একজন এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে তিনজন।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে তেল, গ্যাসসহ দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে আব্দুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হন। তখন ১০ পুলিশসহ বিএনপির অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ