খরস্রোতা চেঙ্গী নদীর ভাঙনে খাগড়াছড়ির পানছড়ির বিস্তৃর্ণ ফসলি জমি, পুরাতন রাস্তাঘাট ও ভিটে-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে খাগড়াছড়ি সদর ও পানছড়ি উপজেলা দুইটির বর্তমান মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে।
পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীর ভাঙনের কবলে সদরের উত্তর-খবংপুড়িয়া, রাবার ফ্যাক্টরি, শব্দমিয়া পাড়া, মুসলিম পাড়া, গঞ্জপাড়া গোলাবাড়ী হেডম্যানপাড়া ও কমলছড়িসহ বহু গ্রামের বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি; বসতভিটা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
কমলছড়ি ইউনিয়নের পুরাতন সড়কটি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। এসব নদীপাড়ের বসবাসরত পরিবারগুলো প্রতিনিয়ত ভাঙনের শিকার হয়ে আশ্রয়হীন হচ্ছে। বিশেষ করে ভরা বর্ষা মৌসুমে ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হলেই ফুলে ফেঁপে উঠে চেঙ্গী নদীর পানি। এসময় পাহাড়ি ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয়। দফায় দফায় ডুবে যায় খাগড়াছড়ি পৌর শহরের নিম্নাঞ্চল। এতে শত শত পরিবার বন্যার পানিতে চরম দুর্ভোগে পরে। বর্ষাকাল আসলেই এসব এলাকার লোকজন আতঙ্কে দিন কাটায়। এর সাথে নদী ভাঙনও তীব্র রূপ ধারণ করে। একইভাবে পানছড়ি বাজার এলাকা, লৌগাং, রাবার ড্যাম এলাকাসহ নদী তীরবর্তী বহুগ্রামে বসবাসরত পরিবার চেঙ্গীর ভাঙনের কবলে পড়ছে। এছাড়া চেঙ্গী নদীর ভাঙনে পানছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খাগড়াছড়ি সদরের পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের স্থাপিত রাবার কারখানাটিও চেঙ্গী নদীর ভাঙনে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি তিন পার্বত্য জেলার জন্য একনেকে নদী ভাঙন রোধের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাশ করা হয়। যা ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো মাঝে আশা জগিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্নস্থানে পাথর বসালেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে এলাকাবাসী জানান। ভাঙনের শিকার এলাকাবাসী অচিরেই ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল