এক টান ৬৫ দিনের সাগরে অবরোধ শেষে ইলিশের ভরা মৌসুম। অনেক মাছ ধরার ট্রলারে জেলেদের জালে ইলিশ মৌসুমেও দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। কোন কোন ট্রলার শূন্যও ফিরে আসছে। পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির মালিকানাধীন এফবি সাফওয়ান নামের ট্রলারে জালে উঠে এসেছে ৭৫ মণ রূপালী ইলিশ!
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এফবি সাফওয়ান ট্রলারের মাঝি মহসিন মিয়ার বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ট্রলার মালিক মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, অবরোধ উঠে যাবার পর আমার ৮টি ট্রলার সাগরে যায়। প্রথম পর্যায়ে খালি ফিরে আসে। সোমবার একটি ট্রলারে ৭৫ মণ ইলিশ নিয়ে আসে। বিএফডিসি পাইকারী বাজারে এই ইলিশ ১৮ লাখ টাকা বিক্রি করা হয়েছে।
বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মার্কেটিং কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি ট্রলারে ৭৫ মণ ইলিশ ধরা পড়ার খবরটি সঠিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৬ জুলাই বাজার সওদা করে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে যায়, এফবি সাফওয়ান নামের ট্রলারটি। নির্ধারিত স্থানে নোঙ্গর করে মাঝি মহসিন মিয়া বঙ্গোপসাগরের গভীরে জাল ফেলার ২ দিনের মধ্য উঠে অসে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ। ইলিশের ভরা মৌসুমেও যখন দেখা মিলছে না জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ, সে সময় তারা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরে এসে মহা আনন্দে। এদিকে বেশ কিছু ট্রলারের জেলেরা মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছে ঘাটে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, আমার ট্রলার মালিকদের জালে মাছ না পাওয়ায় হতাশ হয়েই ফিরে এসেছে অনেকে। খুব সমস্যার মধ্যেই তাদের দিন কাটছে, এরই মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের ট্রলারে ৭৫ মণ ইলিশ পেয়েছে, এটাতো আমাদের জন্য খুশির খবর। আমার মনে হয় আস্তে আস্তে মাছ ধরা পরতে শুরু করেছে জেলেদের জালে। এরকম সকল জেলেরা মাছ পেলে ট্রলার মালিকরা পিছনের ধার দেনা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছি।
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, গভীর সমুদ্রে এখন প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে এবং ওই ইলিশের সাইজেও এখন বড়। তবে উপকূলের কাছাকাছি এখন অনেকটা কম পাওয়া যাচ্ছে মাছ। ধারণা করছি সামনের সময়গুলোতে জেলেদের ঝালে আরও ইলিশ ধরা পড়বে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত