ঢাকার নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী তৈরি করেছেন ‘রেবনি’। আগুন নেভাতে সক্ষম এটি। রেবনি যেখানে যেতে পারবে সেখানে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যেতে পারবে না। অগ্নিকুণ্ড যত বড় হবে, রেবনি ততটা দ্রুত কাজ করতে পারবে।
নাটোরের দিঘাপতিয়া এমকে কলেজের শিক্ষার্থী মো. জিাহাদ রহমান তৈরি করেছেন ফার্মিং রোবট। ফার্মিং রোবট ক্ষেতে যেতে পারবে। ছোট বা বড় গাছে উঠে গাছের ছবি তুলে প্রেরণ করবে। গাছের ফল-ফুল রোগাক্রান্ত কিনা সেটিও জানিয়ে দেবে।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে তৈরি করেছেন মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট রোবট। রোবটটি পরিচালনার মধ্যে দিয়ে রোগীকে বিভিন্নভাবে সেবা ও বার্তা প্রদান করবে। মিরাজুল হক নামে আরেক শিক্ষার্থী তৈরি করেছেন লাইন ফ্লোয়ার রোবট। রোবটিকে নির্দেশনা দিয়ে ছেড়ে দিলে সেই নির্দেশ মোতাবেক চলবে এবং আশপাশের ছবি তুলে প্রেরণ করবে।
এমন নানা রোবট তৈরি করে কলেজ শিক্ষার্থীরা শনিবার জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমিতে (নেকটার) রোবটিক্স অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় তুলে ধরেছেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব ও নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বগুড়ায় রোবটিক্স অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই অলিম্পিয়াড ৪টি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে রবো সকার, লাইন ফলোয়িং রবোটিক্স প্রতিযোগিতা, প্রজেক্ট শোকেসিং (জুনিয়র), পোস্টার প্রেজেন্টেশন (জুনিয়র), প্রজেক্ট শোকেসিং (সিনিয়র) ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন (সিনিয়র) প্রতিযোগিতায় ১০৬টি টিমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশসহ ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৩৩১ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নেকটার) বগুড়া প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। প্রতিযোগিতা শেষে ছয়জনকে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এর আগে সকাল ৯টায় নেকটার হল রুমে এ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহসিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এটুআই প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচীব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, বুয়েটের সাবেক ডীন ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া নেকটারের পরিচালক (উপসচিব) মো. শাফিউল ইসলাম।
নেকটারের পরিচালক (উপসচিব) মো. শাফিউল ইসলাম জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে রোবটের গুরত্ব অপরিসীম। এই শিল্পে ৪০ লাখ লোক কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের আরো আধুনিক রোবট তৈরি করতে হবে। এই রোবটের মাধ্যমে আমাদের প্রয়োজন মিটানো যাবে। তরুণ এবং যুবকরা যেন দেশের জন্য কাজ করে সে জন্য তাদের উৎসাহ দিতে হবে। উৎসাহ প্রদানের মধ্যে দিয়ে তরুণদের এগিয়ে নিতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই