রংপুরে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩। ১৫ বছর আগে ধর্ষণ মামলা হয়। তখন থেকেই পলাতক ছিল প্রধান আসামি মোঃ মমিনুল ইসলাম বাবু। বাবু রংপুর নগরীর লালবাগ কে.ডি.সি রোড এলাকার আঃ সাত্তারের পুত্র। শুক্রবার বিকেল নগরীর লালবাগ রেলগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। শনিবার দুপুরে র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ফ্লাইট লেঃ মাহমুদ বশির আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
র্যাব ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০৭ সালের ২৬ মে রংপুর নগরীর তাজহাট টিবি হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা এক গৃহবধূকে রিকশা থেকে নামিয়ে নগরীর খামার এলাকার পূর্ব দিকে গাছের নিচে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। গৃহবধূ ঐ সময় চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে আসাদুল নামে একজন ব্যক্তিকে আটকে রাখে এবং একই সময় অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দিলে আসামি আসাদুলকে গ্রেফতার করে। উক্ত ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ নিজে কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রমাণ পায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর প্রধান আসামি মোঃ মমিনুল ইসলাম বাবুসহ আরও দুইজন আসামি মোঃ আসাদুল ইসলাম এবং মোঃ রঞ্জু মিয়া এর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচারকার্য চলাকালে ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক আসামি বাবু, আসাদুল এবং রঞ্জু মিয়া’কে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় প্রদান করেন। উক্ত মামলার রায় ঘোষণার সময় আসামি আসাদুল ও রঞ্জু মিয়া আদালতে উপস্থিত থাকলেও প্রধান আসামি বাবু পলাতক ছিল। মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই প্রধান আসামি মোঃ মমিনুল ইসলাম বাবু বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকেন। বাবুর নামে ধর্ষণ মামলা ছাড়াও ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ২টি চুরি এবং ১টি মাদক মামালাসহ মোট ৫টি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ