১৮ আগস্ট, ২০২২ ১৬:২১

রংপুরে পুরাতন সাইকেলের হাট জমজমাট

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে পুরাতন সাইকেলের হাট জমজমাট

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরে রংপুরে পুরাতন সাইকেলের বিক্রি বেড়েছে। অনেকে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেলের পরিবর্তে বাইসাইকেলকেই পছন্দ করতে শুরু করেছেন। 

বুধবার বিকেলে রংপুর অঞ্চলের সর্ববৃহৎ লালবাগ হাটের পুরাতন সাইকেল বিক্রির বাজারে গিয়ে দেখে গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখর সাইকেলের হাট। চলছে জমজমাট কেনা বেচা। 

সরেজমিনে দেখাগেছে, লালবাগহাটের উত্তর-পশ্চিমে রাস্তার পাশে পুরাতন সাইকেলের বাজার। এখানে স্থায়ী পুরাতন সাইকেল বিক্রেতা রয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জন। এরা রংপুরের বদরগঞ্জ, শ্যামপুর,খানসামা, বুড়িহাট, বড়াইবাড়িরহাটসহ বিভিন্ন হাট থেকে পুরাতন সাইকেল ক্রয় করে লালবাগ হাটে এনে বিক্রি করেন। লালবাগ হাট সপ্তাহে দুই দিন রবিবার ও বুধবার। এই দুইদিনে সাইকেল বিক্রেতারা পুরাতন সাইকেল লাইন করে সাজিয়ে রাখেন। ক্রেতারা পছন্দমত দরদাম করে সাইকেল কিনে নিয়ে যান। প্রতিটি সাইকেল ২ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। সাইকেলের ক্রয় বাবদ ইজারাদারকে রশিদের মাধ্যমে ৫০ টাকা দিতে হয়। স্থায়ী ব্যবসায়ী ছাড়াও অনেকে নিতান্ত প্রয়োজনে পড়ে এখানে সাইকেল বিক্রি করতে আসেন এমনটা দেখা গেছে। 

বুড়ির হাট থেকে আসা সাইকেল বিক্রেতা আজাদ মিয়া বলেন, তিনি লালবাগ হাটে ১০/১২ বছর থেকে পুুরাতন সাইকেলে ব্যবসা করে অসছেন। আগে প্রতিহাটে দুই থেকে ৩টি সাইকেল তিনি বিক্রি করতেন। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রতিদিন ৫/৬টি সাইকেল বিক্রি করছেন। 

টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় জনি মিয়া নামে এক ব্যক্তি এসেছেন তার নিজের ব্যবহৃত সাইকেলটি বিক্রি করতে। তিনি বলেন তার সাইকেটি সাড়ে ৪ হাজার টাকা হলে তিনি বিক্রি করবেন। কিন্তু আড়াই হাজার টাকার ওপর কেউ দাম বলছে না। তাই তিনি সাইকেল বিক্রি করবেন কি না সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। 

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত গৌরাঙ্গ নামে এক ব্যক্তি এসেছেন সাইকেল দেখতে। তিনি বলেন, বাড়ি থেকে প্রতিদিন অফিস করতে যে টাকার তেল খরচ হয় তাতে সংসার চালানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই লালবাগহাটে এসেছেন পুরাতন সাইকেল দেখতে। তিনি বলে, পছন্দ  এবং দরদামে বনলে তিনি একটি সাইকেল কিনবেন।

রসিদ কাটা ইজারাদারের কর্মচারি সিয়াম হোসেন সাইকেল বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করে জানান, আগে প্রতি হাটে ১০ থেকে ১৫টি সাইকেল বিক্রি হত। এখন প্রতি হাটে ২৫ থেকে ৩০টি সাইকেল বিক্রি হচ্ছে। তিনি বিক্রি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে মনে করেন জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কাছাকাছি দূরত্বে যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেলের পরিবর্তে বাইসাকেল ব্যবহার করতে শুরু করেছেন।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর