নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে পুলিশ দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীসহ দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহতরা হলেন- উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ব্যাপারী বাড়ির নেওয়াজ শরীফ উদ্দিনের স্ত্রী বিবি ফাতেমা লুনা (২২) ও বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া এলাকার এন্তাজ মিয়ার বাড়ি আবু নাছেরের মেয়ে লুবনা আক্তার পপি (১৯)। সে স্থানীয় বসুরহাট আইডিয়াল একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আজ রবিবার সকাল ও দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে লুনা তার স্বামীর বসতঘরের নিজ কক্ষের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে সকালের দিকে পরিবারের সদস্যরা তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে সে গলায় ফাঁস দেয়।
নিহতের ভাই আলাউদ্দিন অভিযোগ করেন, আত্মহত্যা নয় আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভগ্নীপতিকে বিদেশ যাওয়ার জন্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা না দেয়ায় সে আমার বোনকে মেরে ফেলেছে। নিহতের পরিবার এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। খবর পেয়ে একাধিক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান, দুটি মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার দিকে দুটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর