ফরিদপুরের সালথায় সুমাইয়া আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম নটখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে সুমাইয়ার বাবার দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত ওই গৃহবধূ উপজেলার পশ্চিম নটখোলা গ্রামের মোস্তফা খালাসির মেয়ে এবং একই গ্রামের নটখোলা মীরেরপাড়া এলাকার ইমরান শেখের স্ত্রী। তাদের ঘরে তিন বছর বয়সী তাসকিয়া নামে কন্যা সন্তান রয়েছে।
গৃহবধূ সুমাইয়ার বাবা মোস্তফা খালাসি বলেন, চার বছর আগে একই গ্রামের মীরেরপাড়া এলাকার রোকন শেখের ছেলে ইমরান শেখের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য মেয়েকে মাঝেমধ্যে মারধর করতো জামাই। বেশ কিছুদিন আগে থেকে ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল ইমরান। শনিবার বিকেলে আমার কাছে টাকা চেয়েছিল, আমি দিতে অস্বীকার করলে মেয়েকে রাতভর মারধর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সকালে সুমাইয়া বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে বোয়ালমারীর ময়েনদিয়া বাজারে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ফরিদপুরে নিতে বলে। সেখান থেকে বাড়ি আনার পথেই আমার মেয়ে মারা যায়। আমার মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে। ওদের কঠিন শাস্তি চাই আমি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
এদিকে, অভিযুক্ত ইমরান পলাতক থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ইমরানের বাবা রোকন শেখ বলেন, আমার ছেলে ও বউয়ের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য ছিল না। আমার ছেলে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়নি। সকালে সুমাইয়া হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চিকিৎসা করি। সেখান থেকে আনার পথে সে মারা যায়।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই