পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় ফাঁদ পেতে বন্য শালিক পাখি ধরা ও বিক্রির অভিযোগে মো. শহিদুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে ৫টি শালিক উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়।
সোমবার দুপুরে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক লুৎফুন্নেসা খানম এ আদেশ দেন। মো. শহিদুল ইসলাম (৪৫) পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের আ. রব খলিফার পুত্র।
পিরোজপুর বন বিভাগ রেঞ্চের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানাতে পারেন যে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম বন্য প্রাণি শালিক পাখি ফাঁদ পেতে ধরে বিক্রি করে। তাই দুপুরে বন বিভাগের সদস্য শহিদুলের বাড়িতে অভিযান জালিয়ে ৫টি শালিকসহ শহিদুলকে আটক করা হয়।
পরে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক লুৎফুন্নেসা খানমের আদালতে হাজির করে বিচারক বন্য প্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুযায়ী শহিদুলকে ৩ হাজার টাকার জরিমানা প্রদান করেন এবং উদ্ধারকৃত ৫টি শালিক অবমুক্ত করে দেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক