ভোলার মনপুরা হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় শিশুর স্বজনদের সাথে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির স্বজনদের অভিযোগ শুক্রবার রাত ৮ টায় আবদুল্লাহ নামের ওই শিশুকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মনপুরা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন ডা. আশিকুর রহমান শিশুটিকে দেখে ঔষধের প্রেসক্রিপশন করে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং ক্যানোলা পরিয়ে দ্রুত ঔষধ প্রয়োগ করতে বলেন। শিশুটিকে নিয়ে ইমারজেন্সি রুমে দায়িত্বরত কেউ না থাকায় সেখানে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। পরে শিশুটিকে হাসপাতালের দোতলার দায়িত্বরত নার্সদের রুমে নিয়ে গেলে দেড় ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেও দায়িত্বরত নার্সরা ওই শিশুর হাতে ক্যানোলা পরাতে পারেননি। এক পর্যায়ে শিশুটির মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে মনপুরা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শিশুটির শরীরে পানি শুকিয়ে যায়। ক্যানোলা পরাতে পারেনি নার্সরা। এতে ঔষধ প্রয়োগ করতে না পারায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমান মোবাইলে জানান, ওই শিশুটি অবস্থা গুরুতর ছিলো। ভেইন শুকিয়ে যাওয়ায় নার্সরা তাকে ক্যানুলা পরাতে পারেনি।
মনপুরা থানার ওসি সাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, শিশুর মৃত্যু নিয়ে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে হট্টগোল শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। মৃত শিশুটি তার পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল