ময়মনসিংহের ফুলপুরে চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইউরিয়া, টিএসপি ও ডিএপি সারের মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া কৃষি বিভাগ কর্তৃক সারের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মোতাবেক ইউরিয়া ৪৩৯.২০ মে. টন, টিএসপি ৩৮.৫০ মে. টন, এমওপি ২৪.৭৫ মে. টন ও ডিএপি ৪৯.২ মে. টন সার মজুদ আছে।
ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বর মাসের বরাদ্দকৃত ইউরিয়া ও নন ইউরিয়া সার উত্তোলনের জন্য ডিলাররা টাকা জমা দিয়েছেন। চলতি আমন মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমি। এর মধ্যে ২২ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। যার ৯৫% জমিতে বেসাল ডোজসহ ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ করা হয়েছে।
কাজেই এই মুহূর্তে টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের চাহিদা কৃষক পর্যায়ে কমে এসেছে। কিছু জমিতে পরবর্তী দ্বিতীয় কিস্তিতে ইউরিয়া সারের চাহিদা থাকলেও চাহিদার বিপরীতে এসব সার পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ আছে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে যাতে কেউ সার বিক্রি না করতে পারেন সেজন্য বিসিআইসি ডিলার ও খুচরা সার বিক্রেতাদের বিক্রয় কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এরপরও যদি অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রির কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে সংশ্লিষ্ট ডিলার বা খুচরা সার বিক্রেতার লাইসেন্স বাতিলসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক মাঠে আছি। বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং ও তদারকি করা হচ্ছে। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ বিসিআইসি ডিলার এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মর্তুজা লাল মিয়া তালুকদার ও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর