কক্সবাজারের চকরিয়ায় দিনদুপুরে সিএনজি-অটোরিকশা আটকিয়ে এক কিশোরীর কানের দুল, নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে একদল ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন এক ছিনতাইকারীকে ধরার পর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাইফুল ইসলাম বাবুল তাকে কৌশলে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালী ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বাবুলকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়ন থেকে সকালে দুই ভাইবোন নুর নাহার ও পারভেজ মিলে চকরিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। পরে দুপুরে ফেরার পথে ফুলতলা এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে তিনটি মোটরসাইকেল করে সাতজন তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর কানের দুল, ব্যাগ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। এমনকি ওই কিশোরীকে জড়িয়ে ছবি তোলে ওই ছিনতাইকারীরা।
বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে তারা ফুলতলা এলাকার মো. মনুর আলমের ছেলে হারুন বাদশাকে আটক করে। পরে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে সাইফুল ইসলাম বাবুল এসে ছিনতাইকারীদের খোঁজ নেওয়ার কথা বলে হারুন বাদশাকে নিয়ে যায়।
বাটাখালী ফুলতলা এলাকার স্থানীয় লোকজন বলেন, ওই এলাকার একটি সিন্ডিকেট বিভিন্ন চুরি, ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে সাইফুল ইসলাম বাবুল রয়েছে বলে তাদের দাবি। সাইফুল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলতলা এলাকার আবদুল জব্বারের ছেলে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ছিনতাইয়ের শিকার দুই ভাইবোন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাইফুল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি ও অন্যান্য ছিনতাইকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই