কুষ্টিয়ায় ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক নারী ও অপর দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। সে সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দন্ডিত করেন আদালত। বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম একজন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে যাবজ্জীবন দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি নুরুল ইসলাম মন্টু এবং তার স্ত্রী বেদেনা ইসলাম উপস্থিত না থাকায় তাদের সাজা পরোয়ানাসহ আদালত পুলিশকে গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি হচ্ছেন কুমারখালী উপজেলার পূর্ব লাহিনীপাড়া মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শাহাদত হোসেন ওরফে স্বাধীন (৪৭), পূর্ব থানাপাড়া একতারা মোড় এলাকার মৃত জয়েন উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম মন্টু (৫৭) ও তার স্ত্রী বেদেনা ইসলাম (৫০)।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌশুলী অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তারিখে হরিশংকরপুর মোহাম্মদীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম এক শিক্ষার্থী কাগজ কলম কেনার জন্য বাড়ী থেকে বের হলে প্রতিবেশী সম্পর্কে তার চাচা স্বাধীনের সাথে দেখা হলে তিনি তাকে কাগজ কলম কিনে দেয়ার কথা বলে অটো রিক্সায় করে সিঙ্গার মোড় এলাকায় আসামী নুরুল ইসলামের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে কুষ্টিয়া মডেল থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই লিপন সরকার ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম